আবু সাঈদ মাকবুরী (রা:) বলেন, হযরত আবু ওবায়দাহ (রা:) যখন প্লেগরোগে আক্রান্ত হইলেন, তখন তিনি (হযরত মুআয (রা:) কে) বলিলেন, হে মুআয! লোকদের নামায পড়াও। তিনি লোকদের নামায পড়াইলেন। তারপর হযরত আবু ওবায়দাহ (রা:) ইন্তেকাল করিলে তিনি লোকদের মাঝে দাঁড়াইয়া বলিলেন, হে লোকসকল, তোমরা আল্লাহর নিকট খাঁটিরুপে তওবা কর; কারণ যে ব্যাক্তি গুনাহ হইতে খাঁটিরুপে তওবা করিয়া আল্লাহর সহিত সাক্ষাৎ (অর্থাৎ মৃত্যুবরণ) করিবে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাহাকে মাফ করিয়া দিবেন। তারপর বলিলেন, হে লোকসকল, খোদার কসম, তোমরা এমন এক ব্যক্তির ইন্তেকালে মর্মহত হইয়াছ, যাহার ন্যায় আমি আর কোন আল্লাহর বান্দা দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। আমি তাহার ন্যায় হিংসা-বিদ্বেষ হইতে পবিত্র, নেক দিল, ফেৎনা ফাসাদ হইতে দুরে অবস্থানকারী ও আখেরাতের প্রতি অধিক অনুরাগী এবং জনসাধারণের হিতাকাংখী আমি কখনও কোন আল্লাহর বান্দা দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না। অতয়েব তার জন্য রহমতের দোয়া কর ও তাহার জনাযার নামাযের জন্য ময়দানে চল। খোদার কসম, আগামীতে তোমাদের জন্য তাহার ন্যায় এমন আমীর আর হইবে না। লোকজন সমাবেত হইলে হযরত আবু ওবায়দাহ (রা:) এর জানাযা আনা হইল এবং হযরত মুআয (রা:) নামায পড়াইবার জন্য অগ্রসর হইলেন ও নামায পড়াইলেন। অত:পর হযরত মুআয ইবনে জাবাল, হযরত আমর ইবনে আস ও হযরত যাহহাক ইবনে কায়েস (রা:) তাহার কবরে নামিলেন। তাহাকে কবরে রাখিয়া তাহারা বাহির হইয়া আসিলেন এবং মাটি দিলেন তারপর হযরত মুআয ইবনে জাবাল (রা:) বলিলেন, হে আবু ওবায়দাহ! আমি অবশ্যই আপনার প্রশংসা করিব তবে না হক বলিব না। কারণ আমি নাহক প্রশংসায় আল্লাহ তায়ালার অসন্তুষ্টির ভয় করিতেছি। খোদার কসম, আমার জানামতে আপনি সেই সকল লোকদের মধ্যে ছিলেন, যাহারা অধিক পরিমানে আল্লাহর যিকির করে। আর সেই সকল লোকদের অন্তভূক্ত ছিলেন, যাহারা যমীনের বুকে বিনয়ের সহিত চলাফেরা করে এবং মূর্খলোকদের জবাবে শান্তিপূর্ণ কথা বলে, আর যখন ব্যায় করে, তখন তাহারা অপব্যয় করে না এবং কার্পন্যও করে না বরং তাহারা উভয়ের মাঝামাঝি পন্থা অবলম্বন করে। খোদার কসম, আপনি সেই সকল লোকদের মধ্য হইতে ছিলেন, যাহাদের মন সর্বদা আল্লাহর প্রতি ঝুঁকিয়া থাকে আর যাহারা বিনয়ী, যাহারা এতীম ও মিসকীনদের প্রতি দয়া করে ও খেয়ানতকারী ও অহংকারীদের ঘৃণা করে। (হাকেম)
হযরত আলী (রা.) বলেন, বদর যুদ্ধের দিন আমি কিছুক্ষণ যুদ্ধ করিয়া দ্রুত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দেখিতে গেলাম যে, তিনি এই সময় কি করিতেছেন? আমি যখন তাহার নিকট গেলাম তখন আমি দেখিলাম যে, তিনি সেজদায় মাথা রাখিয়া বলিতেছেন, يَا حَيُّ ياَ قَيُّوْمُ، يَا حَيُّ ياَ قَيُّوْمُ এই শব্দগুলি ব্যাতীত আর কিছুই বলিতেছেন না। আমি ফিরিয়া আসিয়া আবার যুদ্ধে মশগুল হইলাম। আবার দ্বিতীয়বার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসিলাম। তিনি তখনও একইভাবে সেজদায় মাথা রাখিয়া সেই শব্দগুলি বলিতেছিলেন। আমি আবার যুদ্ধের জন্য চলিয়া গেলাম। তারপর আমি তৃতীয়বার আবার তাহার নিকট আসিয়া দেখিলাম তিনি সেজদায় মাথা রাখিয়া সেই শব্দগুলিই পুনরাবৃত্তি করিতেছেন। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা তাহার হাতে বিজয় দান করিলেন। (বাইহাকী)
যদি এ অ্যাপসটি ভাল লাগে কাহলে কমেন্টস করে আপনার মতামত দিন । ধন্যবাদ
আবুসাঈদমাকবুরী (রা :) বলেন, হযরতআবুওবায়দাহ (রা :) যখনপ্লেগরোগেআক্রান্তহইলেন, তখনতিনি (হযরতমুআয (রা :) কে) বলিলেন, হেমুআয! লোকদেরনামাযপড়াও তিনিলোকদেরনামাযপড়াইলেন তারপরহযরতআবুওবায়দাহ (রা :) ইন্তেকালকরিলেতিনিলোকদেরমাঝেদাঁড়াইয়াবলিলেন, হেলোকসকল, তোমরাআল্লাহরনিকটখাঁটিরুপেতওবাকর; কারণযেব্যাক্তিগুনাহহইতেখাঁটিরুপেতওবাকরিয়াআল্লাহরসহিতসাক্ষাৎ (অর্থাৎমৃত্যুবরণ) করিবে, আল্লাহতায়ালাঅবশ্যইতাহাকেমাফকরিয়াদিবেন তারপরবলিলেন, হেলোকসকল, খোদারকসম, তোমরাএমনএকব্যক্তিরইন্তেকালেমর্মহতহইয়াছ, যাহারন্যায়আমিআরকোনআল্লাহরবান্দাদেখিয়াছিবলিয়ামনেহয়না আমিতাহারন্যায়হিংসা-বিদ্বেষহইতেপবিত্র, নেকদিল, ফেৎনাফাসাদহইতেদুরেঅবস্থানকারীওআখেরাতেরপ্রতিঅধিকঅনুরাগীএবংজনসাধারণেরহিতাকাংখীআমিকখনওকোনআল্লাহরবান্দাদেখিয়াছিবলিয়ামনেহয়না অতয়েবতারজন্যরহমতেরদোয়াকরওতাহারজনাযারনামাযেরজন্যময়দানেচল খোদারকসম, আগামীতেতোমাদেরজন্যতাহারন্যায়এমনআমীরআরহইবেনা লোকজনসমাবেতহইলেহযরতআবুওবায়দাহ (রা :) এরজানাযাআনাহইলএবংহযরতমুআয (রা :) নামাযপড়াইবারজন্যঅগ্রসরহইলেনওনামাযপড়াইলেন অত: পরহযরতমুআযইবনেজাবাল, হযরতআমরইবনেআসওহযরতযাহহাকইবনেকায়েস (রা :) তাহারকবরেনামিলেন তাহাকেকবরেরাখিয়াতাহারাবাহিরহইয়াআসিলেনএবংমাটিদিলেনতারপরহযরতমুআযইবনেজাবাল (রা :) বলিলেন, হেআবুওবায়দাহ! আমিঅবশ্যইআপনারপ্রশংসাকরিবতবেনাহকবলিবনা কারণআমিনাহকপ্রশংসায়আল্লাহতায়ালারঅসন্তুষ্টিরভয়করিতেছি খোদারকসম, আমারজানামতেআপনিসেইসকললোকদেরমধ্যেছিলেন, যাহারাঅধিকপরিমানেআল্লাহরযিকিরকরে আরসেইসকললোকদেরঅন্তভূক্তছিলেন, যাহারাযমীনেরবুকেবিনয়েরসহিতচলাফেরাকরেএবংমূর্খলোকদেরজবাবেশান্তিপূর্ণকথাবলে, আরযখনব্যায়করে, তখনতাহারাঅপব্যয়করেনাএবংকার্পন্যওকরেনাবরংতাহারাউভয়েরমাঝামাঝিপন্থাঅবলম্বনকরে খোদারকসম, আপনিসেইসকললোকদেরমধ্যহইতেছিলেন, যাহাদেরমনসর্বদাআল্লাহরপ্রতিঝুঁকিয়াথাকেআরযাহারাবিনয়ী, যাহারাএতীমওমিসকীনদেরপ্রতিদয়াকরেওখেয়ানতকারীওঅহংকারীদেরঘৃণাকরে (হাকেম)
হযরতআলী (রা.) বলেন, বদরযুদ্ধেরদিনআমিকিছুক্ষণযুদ্ধকরিয়াদ্রুতরাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামকেদেখিতেগেলামযে, তিনিএইসময়কিকরিতেছেন? আমিযখনতাহারনিকটগেলামতখনআমিদেখিলামযে, তিনিসেজদায়মাথারাখিয়াবলিতেছেন, ياحيياقيوم, ياحيياقيومএইশব্দগুলিব্যাতীতআরকিছুইবলিতেছেননা আমিফিরিয়াআসিয়াআবারযুদ্ধেমশগুলহইলাম আবারদ্বিতীয়বাররাসূলুল্লাহসাল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লামেরনিকটআসিলাম তিনিতখনওএকইভাবেসেজদায়মাথারাখিয়াসেইশব্দগুলিবলিতেছিলেন আমিআবারযুদ্ধেরজন্যচলিয়াগেলাম তারপরআমিতৃতীয়বারআবারতাহারনিকটআসিয়াদেখিলামতিনিসেজদায়মাথারাখিয়াসেইশব্দগুলিইপুনরাবৃত্তিকরিতেছেন অবশেষেআল্লাহতায়ালাতাহারহাতেবিজয়দানকরিলেন (বাইহাকী)
যদিএঅ্যাপসটিভাললাগেকাহলেকমেন্টসকরেআপনারমতামতদিন ধন্যবাদ